নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী,সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান সুজনের অনুসারী খালেদ খান রবিনকে (২৪ ঘন্টা)’র মধ্যে রাজধানী’র ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ। প্রশংসায় ভাসছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ খলিলুর রহমান খানের ছেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী, একাধিক মামলার আসামি ও ভূমিদস্যু খালেদ খান রবিন।
গত বুধবার (১৪ মে) দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে নগরীর আমতলার মোড় এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সংগঠনের ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি খালেদ খান রবিনকে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও জনগন মিলে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
এসময় কোতয়ালী মডেল থানার আওতাধীন স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই মাহাবুবসহ পুলিশ সদস্যরা রবিনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় রবিন সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভোররাতে ঢাকার দক্ষিণখান কেসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার ওসি।
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবীর খান ফেরদাউস ও ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহবায়ক শাহাদাৎ খান জানান- এই রবিন জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালিয়েছিল। গত ৪ আগস্টের বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনায়ও রবিনের সম্পৃক্ততা ছিলো।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন,পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগ কর্মী রবিনকে ধরতে বরিশাল নগরীসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে রবিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এবিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভোররাতে ঢাকার দক্ষিণখান কেসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।এঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আহত রবিন পুলিশ হেফাজতে তাকে চিকিৎসার জন্য (শেবাচিম) শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।